এটা আমার কণ্ঠ না, ‘সুপার এডিট’ হয়েছে : নিক্সন চৌধুরী

0
1019

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোনে গালিগালাজের যে অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটি বানোয়াট বলে দাবি করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন।

তিনি বলেন, এটা আমার কণ্ঠ না। আমার বক্তব্যকে ‘সুপার এডিট’ করা হয়েছে। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চরভদ্রাসন উপজেলার উপনির্বাচনে ‘ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে’ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

মুজিবর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রের মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়ায় আমাদের এক কর্মীকে গাড়িতে তোলেন ম্যাজিস্ট্রেট। আমি ইউএনওকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। এর বাইরে যে বক্তব্য ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো এডিট করা। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। চরভদ্রাসনের ইউএনওর সঙ্গে ‘মধুর সম্পর্ক’ দাবি করে মুজিবর রহমান বলেন, সংসদীয় আসনের তিন উপজেলার চরভদ্রাসন ও সদরপুরের ইউএনও নারী আর ভাঙ্গার ইউএনও একজন পুরুষ। তাদের সঙ্গে ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছি। ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, গত শনিবারের উপনির্বাচনের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয় জেলা প্রশাসন। নির্বাচনের আগের দিন কেন ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলো? ইসির কী এ–বিষয়ক চিঠি আছে? নির্বাচনের দিন বিজিবি সঙ্গে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের মারমুখী আচরণ করতে দেখা গেছে। যেখানে নৌকার ভোট বেশি, সেখানেই ম্যাজিস্ট্রেটরা বেশি তাণ্ডব করেছেন।

শনিবার নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকারকে ‘দাঁতভাঙা জবাব’ দেওয়ার হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গে মুজিবর রহমান বলেন, সারা দিন ম্যাজিস্ট্রেটরা যে তাণ্ডব চালিয়েছেন, তাতে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। নেতাকর্মীরা উত্তেজিত ছিল। প্রশাসনের অনুরোধে তিনি নেতাকর্মীদের ‘ঠান্ডা’ করতে গিয়েছিলেন।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে মুজিবর রহমান দাবি করেন, তিনি কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। যদি আচরণবিধি ভেঙে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরের দিন সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউএনও আমার ভাঙ্গার বাড়িতে যান। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও কোনোভাবেই আমার বাড়িতে আসতে পারেন না। জেলা প্রশাসকও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

Facebook Comments Box