
নেতৃত্বের মূল মন্ত্র হলো সাংগঠনিক দক্ষতা যা তৈরী হয় একজন নেতার আচরনের উপর আর আচরণ কেমন হবে তা নির্ভর করে নেতার দর্শন, ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞতার উপর। সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ একজন নেতা মানুষের বিশ্বাস আর ভালবাসা আমানত হিসাবে মেনে নিয়ে কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে নেন।
আজ তেমনি এক ব্যাক্তিত্বের কথা বলব যিনি তার কাজের মাধ্যমে বহু বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন ।
তিনি আর কেউ নন, তিনি জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। আমাদের সবার প্রিয় “মোস্তাফিজ ভাই”। ১৯৮৯ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডের মাটিতে পা রাখেন তখন থেকে কমিউনিটিতে মানুষের সেবায় তার পথ চলা। সেই পথ চলা আজ প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর।
তার মত সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ, ত্যাগী, কর্মঠ , পরোপকারী নেতৃত্ব কমিউনিটিকে অনেক সফলতা এনে দিতে পারেন এবং তার প্রমান তিনি বহু বার রেখেছেন। এবছর ফেব্রুয়ারী মাসে Dublin DCU তে তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডে সর্ব প্রথম “২১ শে বইমেলা ২০২০” এটি ছিল একটি সফল এবং ঐতিহাসিক ইভেন্ট। ২১ শে বই মেলায় মোস্তাফিজ ভাই দেখিয়েছেন দলীয় মতভেদ এবং ধর্মীয় মত-পার্থক্য থাকা সত্যেও সকল মানুষকে একসঙ্গে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা সম্ভব।

“আইরিশ বাংলা টাইমস” পত্রিকার সাথে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের আলাপচারিতায় তার জীবনের অনেক অজানা গৌরবময় কথা উঠে এসেছে। তার কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
অবিভক্ত সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম। বাবা সৈয়দ আজিজুর রহমান ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার আর ‘মা’ সালেহা চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। তাদের চার মেয়ে ও পাচ্ঁ ছেলের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের রয়েছে ছাত্র জীবনে রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য অধ্যায়। তিনি প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার স্কুল জীবন, কলেজ জীবন ,তার বেড়ে উঠা , ছাত্র রাজনীতি সবই হবিগঞ্জে । আশির দশকে স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের পতনের মাধ্যমে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র আন্দোলনে তার সক্রিয় ভুমিকার কথা স্বরণ করে তিনি আজও আবেগ তাড়িত হন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি জাসদের সিরাজুল আলম খান, আওয়ামিলীগের প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আ স ম আব্দুর রব, শাজাহান সিরাজ, আহসানুল হক ইনু সহ সিলেট জেলার ততকালীন বহু রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে এসেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কারানির্যাতন ভোগ করেছেন বার বার এবং জেলের অভ্যন্তরে পেয়েছেন লতিফ সিদ্দিকীর মত নেতার সান্নিধ্য । তিনি হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন ডিগ্রী কলেজের ছাত্র হলেও তার রয়েছে ছাত্র নেতাদের সাথে মহসিন হল, সূর্যসেন হল , মধুর কেন্টিন সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অনেক রাজনৈতিক স্মৃতি।

একটি শোষণ মুক্ত সমাজ গঠনের তাগিদ থেকে ছাত্র জীবনে তিনি রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে ছিলেন। আজও তিনি একটি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেন যেখানে থাকবে সম্পদের সুষম বন্টন ও আইনের শাসন ।
তার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে চলে আসে প্রবাসে দেশীয় রাজনৈতিক দলের রাজনীতি চর্চা। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশীরা তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে লোকাল আইরিশ রাজনীতিতে আরো সক্রিয় ভাবে এগিয়ে আসবে । তিনি মনে করেন প্রবাসে Local Irish politics এ মানুষ সক্রিয় হলে কমিউনিটির মানুষ উপকৃত হবে এবং আমাদের অবস্থান আরো শক্ত ও সুদৃঢ় হবে। নব নির্বাচিত দুইজন কাউন্সিলরের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন “জনাব আজাদ তালুকদার” এবং “জনাব ইমন” আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরনা।
ছাত্র জীবনে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ক্রীড়া সংগঠন ও সংস্কৃতি চর্চায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন যা আমরা তার মধ্যে এখনও বিদ্যমান দেখতে পাই। আয়ারল্যন্ডে সর্ব প্রথম যখন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন গঠিত হয় তখন সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান আসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। পরবর্তি কালে তিনি দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই সময় গুলোতে তিনি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত একুশে ফেব্রুয়ারীতে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উদযাপন সহ বৈশাখী মেলা ও বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা এবং দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেন। আমরা দেখেছি তিনি কিন্তু পরবর্তিতে বহু বছর বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের বাইরে থেকেও এই কাজ গুলো নিয়মিত করে গেছেন এবং আরো বড় আকারে করছেন, এর উদাহরন হলো কিলকেনীতে তার নেতৃত্বে প্রায় প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় সকলের প্রানের মেলা “বাংলা মেলা”। এটি আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের এখন পর্যন্ত সব চেয়ে বড় ইভেন্ট।

এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতেই হয় তা’হলো মোস্তাফিজ ভাই “বাংলাদেশ স্পোর্টস এসোসিয়েশন অব আয়ারল্যান্ড” BSAI এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
একই সাথে তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন দেশের অভিবাসী কমিউনিটি গুলোর সাথে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি নিয়মিত Intercultural program করছেন। এই কাজ গুলোর মাধ্যমে অভিবাসিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের জন্য কিভাবে একটি International Cultural Center স্থাপন করা যায় এই নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে। এছারা মূল ধারার আইরিশ সমাজে কিভাবে অভিবাসিরা সহজে নিজেদের তুলে ধরতে পারবে কিংবা কিভাবে অভিবাসিরা আইরিশ মূল ধারায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এই সকল বিষয় নিয়ে তিনি একটি সংগঠনের সাথে কাজ করছেন। সংগঠনটির নাম Twilight Community Group, তিনি এই সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর একটি International conference এর আয়োজন করা হয় যেখানে বিভিন্ন দেশের অভিবাসি প্রতিনিধিগন উপস্থিত থাকেন। তিনি কিলকেনীতে Local County council এর অধীন এই রকম আরো একটি সংগঠনের সাথে সদস্য হয়ে কাজ করছেন। মোস্তাফিজ ভাই যদিও কোন Local Irish Politics এর সাথে জড়িতনন তবু তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, মেয়র,কাউন্সিলর সহ সকলের সাথে সর্ম্পক উন্নয়নের মাধ্যমে অভিবাসিদের অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তিনি মনে করেন আমাদের সকলের উচিত এই কাজ গুলো করার জন্য এগিয়ে আসা তবেই আমাদের সকল অভিবাসি সহ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর আয়ারল্যান্ড গড়ে তুলতে পারব।

জগতে কিছু মানুষ থাকে তারা মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না । মোস্তাফিজ ভাই তাদেরই একজন। কমিউনিটিতে কেউ মারা গেলে মোস্তাফিজ ভাই’কে দেখা যায় দাফন কাফন সহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতায় সর্বাগ্রে তার উপস্থিতি। সম্প্রতি লকডাউনের ভেতর ডাবলিনে আমাদের বাংলাদেশী এক ভাই “আমরুল হোসেন” হার্টএ্যাটাকে ইন্তেকাল করেন। লকডাউনের ভেতরেও সেই মৃত ভাইয়ের দাফনে মোস্তাফিজ ভাইয়ের অকুন্ঠ সহযোগীতার কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। তিনি অতন্দ্র অভিবাবকের মত কমিউনিটির সকলের সুখে দুখে সদা জাগ্রত।
আয়ারল্যান্ডে বিগত দিনে বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া কাজ করতে গিয়ে ইমিগ্রেশনের সমস্যায় অনেক বাংলাদেশীকে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এমনকি পুলিশ বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে গিয়ে অবৈধ লোকদের ধরতে হানা দিত এবং ধরে নিয়ে গিয়ে কোর্টে তুলতো। ঐ সময়টাতে মোস্তাফিজ ভাই বহু বাংলাদেশীদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন, তাদের জন্য কাজ করেন , তাদের কারো কারো জামিনের জন্য কোর্টে গিয়েছেন এবং বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছেন। আজকে তাদের প্রায় সকলেই আয়ারল্যান্ডে বৈধতা পেয়েছেন।

তার ব্যাক্তিত্বের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য হলো তিনি যখন যে কাজটি করেন সেটি একাগ্রচিত্তে ও একনিষ্ঠ ভাবে করেন। এটি তার বন্ধু মহলের সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন। কমিউনিটিতে রয়েছে তার অসংখ্য স্বেচ্ছা সেবী অনুরাগী বন্ধু মহল ও শুভাকাঙ্খী যারা তার নেতৃত্বে কমিউনিটিতে সেবা দিতে সদা প্রস্তুত।
কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি বর্তমানে তিনি কিলকেনীতে একটি মসজিদ নির্মানে কিলকেনী মুসলিম কমিউনিটিকে সাথে নিয়ে কাজ করছেন । আমরা এই কাজে তার এবং কিলকেনী মুসলিম কমিউনিটির সফলতার জন্য দোয়া করি।
সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান একজন সুবক্তা । তার বক্তব্যে থাকে যুক্তি ও তথ্যের সংমিশ্রন । তার একটি প্রতিভার কথা না বললেই নয়, তিনি তার ভড়াট গলায় অত্যন্ত চমৎকার কবিতা আবৃত্তি করেন।

মোস্তাফিজ ভাই মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিনে কিংবা বরফ পড়া ঠান্ডা কনকনে শীতের রাতে গাড়ী নিয়ে ছুটে যান আয়ারল্যান্ডের যে কোন প্রান্তে। মানুষের সঙ্গ মানুষের ভালবাসাই তার শক্তি।
যিনি নীতি ও আদর্শের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে মানুষের সেবায় আত্ব নিয়োগ করেন, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি’ই নেতা। মোস্তাফিজ ভাই জীবনের পরোয়া না করে দেশের মানুষের জন্য সামরিক স্বৈর শাসকের জেল জুলুমকে বরণ করে নিয়ে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিজয়ীর বেশে একদিন ফিরে এসেছিলেন, সেই তিনি আবার স্বভাবসিদ্ধ ভাবে এই প্রবাসে এসেও গন মানুষের পাশেই আছেন।
আমরা আশা করি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটিকে আরো বহু বছর নেতৃত্ব দিয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, ইনশা’আল্লাহ। পরিশেষে তার উত্তরোত্তর সাফল্য , সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ডাবলিন বই মেলায় ডাবলিন বই মেলায় ডাবলিন বই মেলায় ডাক্তার মুশতাক হোসেন, ডাকসুর সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডক্টর বিনা শিকদার। মুস্তাক ভাই এর কোলে নিলয়। বর্তমানে ডাক্তার নিলয়। লন্ডনে তোলা ছবি। সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে জাসদের নেতা সিরাজুল আলম খান যিনি স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং জুবায়ের আজিজ যিনি হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের প্রাক্তন ভিপি ডাবলিনে বেড়াতে আনে ১৯৯৯ সালে কিলকেনি “বাংলা মেলায়” Cathleen Funchion TD এর সাথে মঞ্চে জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। BSAI এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নবনির্বাচিত BSAI এর কার্যকরী কমিটির শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। কিলকেনি Bengali cultural festival এর সাফল্যের পিছনের কারণ জানতে ইমিগ্রান্ট কাউন্সিল অফ আয়ারল্যান্ড এর পক্ষ থেকে একটি প্রোগ্রাম করা হয়। সেখানে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মঞ্চে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান সাথে রয়েছেন Mayor of Kilkenny councillor “Andrew McGuinness”, তার পাশে রয়েছেন John Paul phelan, State minister for local government, তারপর রয়েছেন Mr Brian Killoran, chief executive officer, Immigrant council of Ireland. সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই রয়েছেন Immigrant council of Ireland এর আরেকজন কর্মকর্তা। কিলকেনি বাংলা মেলায় সহকর্মীদের সাথে জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। কিলকেনি বাংলা মেলায় Twilight community group এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। গলওয়েতে কাউন্সিলর জনাব আজাদ তালুকদার এবং জনাব ইমনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রত জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। মৌলভীবাজার সোসাইটির পক্ষ থেকে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানকে দেওয়া হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। জাসদের জনসভায় বক্তৃতা রত জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। মঞ্চে উপবিষ্ট আছেন আসম আব্দুর রব, হাসানুল হক ইনু, মঈনুদ্দিন খান বাদল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কিলকেনিতে Local County council আয়োজিত এক সভায়। Twilight community group এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মরক্কোর এম্বাসেডর মিস্টার Lahcen Mahraoul এর সাথে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান। Twilight community group এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পোল্যান্ডের এম্বাসেডর Ms Anna Sochanska এর সাথে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান।