
আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী’ বলায় নান্নুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিসিবি
হুট করেই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল আর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর মাঝে বিবাদ লেগে গেল! পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে আজ বিসিবি সরগরম। দুজনই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। নান্নু এখন নির্বাচক, আর আশরাফুল ফিক্সিং করে শাস্তি ভোগ শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে টেনেটুনে খেলছেন। আশরাফুলের এই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করলেন নান্নু। এর আগে অবশ্য নান্নুকে খোঁচা মেরেছেন আশরাফুল।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীকে উদ্দেশ করে আশরাফুল বলেন, ‘একই ব্যক্তি একটি কাজ ১১ বছর ধরে করতে থাকলে আপনি একটা জায়গায় আটকে থাকবেন। নির্বাচক প্যানেল এমন হওয়া উচিত, যাঁরাই হবেন তাঁরা তিন-চার বছরের জন্য দায়িত্ব পাবেন, একটা বিশ্বকাপ থেকে আরেকটা বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এভাবে হলে আপনি ভিন্ন কিছু পাবেন, ভিন্ন কিছু ভাবনায় আসবে।’
পরে ওই চ্যানেলেই গিয়ে মিনহাজুল আবেদনি আশরাফুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক কত বছর ধরে কাজ করেছেন, সে ধারণা আশরাফুলের নেই। অস্ট্রেলিয়া কি ক্রিকেটে পিছিয়ে গেছে? আমাদের সকলের জানা উচিত, প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর ধরে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক। সেখানে ও বলছে বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ! কোন বিশ্বকাপ? বাংলাদেশ কি শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে, শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে, শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলবে? তাহলে কি ওয়ানডের জন্য একটা, টেস্টের জন্য একটা, টি-টোয়েন্টির জন্য একটা নির্বাচক কমিটি লাগবে? যে সমস্ত ক্রিকেটার দেশদ্রোহী হয়ে, ম্যাচ ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হয়, তাদের থেকে তো ভালো কোনো পরামর্শ আশা করা যায় না।’
নান্নুর এই বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। আশরাফুলও কষ্ট পেয়েছেন বলে ফেসবুক লাইভে জানান। গত সোমবার এ ব্যাপারে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘আশরাফুল যেহেতু বর্তমান খেলোয়াড় আর সাবেক একজন অধিনায়ক, আমি মনে করি সরাসরি এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। কাউকেই এভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। আপনি একটা পদে আছেন বোর্ডে, ওই জায়গা থেকে এমন মন্তব্য না করাই ভালো ছিল। যেহেতু নির্বাচক কমিটি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনে, আমি এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি।’
ফেসবুক লাইভে আশরাফুলের অভিযোগ ছিল, তিনি নান্নুর বিরাগভাজন হওয়ার কারণেই এবারের বিসিএলে দল পাননি। মিনহাজুল-আশরাফুলের এমন মুখোমুখি অবস্থানে বিব্রত বিসিবি। পরিস্থিতি এমন হলে জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে কি না—এমন প্রশ্ন জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ এর শিকার হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই দলে আসবে।’
তথ্যসুত্র:http://lm.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.kalerkantho.com%2Fonline%2Fsport%2F2022%2F01%2F03%2F1107473&h=AT0rKWtrOWy94T7S-qMSVhfl88-dqKPJ8jQdprgXqDYc2DElh3sjKn2xeB12WGlMiN3i9tRmyNyVKPMlIaGFOji3QteAL6lc8cgbedU91eD8NIDX9tByWxQW2olWWQdshZGP